ব্যক্তিগত সংগ্রাম থেকে এআই উদ্ভাবন: মাইক্রোসফটের এক ডেভেলপার কীভাবে স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন আনছেন
চিকিৎসা বিজ্ঞানের জটিল রহস্যের উত্তর খোঁজা এক কঠিন যাত্রা হতে পারে, বিশেষ করে যখন এটি কোনো শিশুর সুস্থতার সঙ্গে জড়িত থাকে। মাইক্রোসফটের একজন নিবেদিত সফটওয়্যার ডেভেলপার জুলিয়ান ইসলা, ব্যক্তিগতভাবে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন যখন তার শিশু পুত্র সার্জিও কোনো কারণ ছাড়াই খিঁচুনি শুরু করে। এটি ছিল একটি বছরব্যাপী কষ্টের শুরু, যা অনিশ্চয়তা এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য এক মরিয়া অনুসন্ধানে পরিপূর্ণ ছিল।
উত্তরের জন্য যন্ত্রণাদায়ক অনুসন্ধান
প্রথম মাসগুলো ছিল একের পর এক ডাক্তারের পরামর্শ, পরীক্ষা এবং পরস্পরবিরোধী মতামতে ভরা। ডাক্তাররা সার্জিওর খিঁচুনির কারণ নির্ণয় করতে পারছিলেন না, যার ফলে বারবার ভুল রোগ নির্ণয় করা হচ্ছিল এবং ইসলা ও তার পরিবারের মধ্যে হতাশা বাড়ছিল। স্পষ্ট উত্তর এবং কার্যকর চিকিৎসার অভাবে তারা অসহায় বোধ করছিলেন।
অবশেষে, অনেকটা সময় পর, একটি রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়: ড্র্যাভেট সিনড্রোম। এই বিরল এবং গুরুতর স্নায়বিক ব্যাধি, যা ঘন ঘন এবং দীর্ঘস্থায়ী খিঁচুনি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, এটি শিশুদের বিকাশে বিলম্ব এবং অন্যান্য জটিলতার কারণ হতে পারে। রোগ নির্ণয়টি অবস্থার একটি নাম দিলেও, এটি নিজের সাথে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে।
একটি ধারণার জন্ম
ড্র্যাভেট সিনড্রোমের বাস্তবতা উপলব্ধি করে ইসলা বিরল রোগের রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে শুরু করেন। তার অভিজ্ঞতা দ্রুত, আরও নির্ভুল এবং আরও সহজে ব্যবহারযোগ্য ডায়াগনস্টিক সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছিল। তিনি এমন একটি ভবিষ্যতের কল্পনা করেছিলেন যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (artificial intelligence) রোগী, পরিচর্যাকারী এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ব্যবধান পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
অন্য পরিবারগুলোকে সেই কষ্টের হাত থেকে বাঁচানোর আকাঙ্ক্ষা থেকে, যা তিনি এবং তার ছেলে সহ্য করেছিলেন, ইসলা বিরল রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি পরিবর্তনে নেমে পড়েন। তিনি জটিল চিকিৎসা ডেটা বিশ্লেষণ, প্যাটার্ন সনাক্তকরণ এবং প্রাথমিক ও আরও সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনা উপলব্ধি করেন।
ফাউন্ডেশন ২৯: একটি স্বপ্নের বাস্তব রূপ
২০১৭ সালে, ইসলা ফাউন্ডেশন ২৯ (Foundation 29) নামে একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যা বিরল রোগের জন্য চিকিৎসা উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করতে এআই-এর শক্তিকে কাজে লাগাতে নিবেদিত। এই ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য হল উদ্ভাবনী এআই-চালিত সরঞ্জাম তৈরি করা এবং সেগুলো ব্যবহার করা যা রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং গবেষণায় সহায়তা করতে পারে।
‘ফাউন্ডেশন ২৯’ নামটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, কারণ ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি বিরল তারিখ যা কেবল লিপ ইয়ারের সময় ঘটে। এটি বিরল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং পরিবারগুলোর মুখোমুখি হওয়া অনন্য চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতীক, যারা প্রায়শই এমন একটি বিশ্বে বাস করে যা সম্পূর্ণরূপে বোঝা বা স্বীকৃত নয়।
শীর্ষ থেকে অনুপ্রেরণা
ইসলার যাত্রা অপ্রত্যাশিতভাবে আরও গতি পায় যখন তিনি মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা (Satya Nadella) সেরিব্রাল পালসি (cerebral palsy) আক্রান্ত একটি শিশু লালন-পালন করার বিষয়ে তার নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। নাদেলার ব্যক্তিগত গল্প ইসলার মনে গভীর resonance তৈরি করে, যিনি প্রযুক্তিখাতে একজন সহযোগী খুঁজে পান। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য নাদেলার সমর্থন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, ইসলা স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তনের জন্য তার স্বপ্ন নিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করেন।
ইসলার অবাক করে দিয়ে নাদেলা তার ইমেল পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সাড়া দেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ইসলার আবেগ এবং উৎসর্গ দেখে মুগ্ধ হন এবং তাকে মাইক্রোসফটের এআই স্বাস্থ্যসেবা দলের সাথে যুক্ত করেন। এই সংযোগটি ফাউন্ডেশন ২৯-এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল, যা ইসলার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ এবং দক্ষতা সরবরাহ করে।
ডিএক্সজিপিটি (DxGPT): ডায়াগনস্টিক সহায়তার একটি নতুন যুগ
ফাউন্ডেশন ২৯-এর প্রাথমিক মনোযোগ ছিল বেসিক এআই অ্যালগরিদম দ্বারা চালিত একটি ক্লিনিক্যাল-গ্রেড ডায়াগনস্টিক টুল তৈরি করা। এই টুলটি একটি ধারণার প্রমাণ হিসাবে কাজ করেছে, যা মেডিকেল ডেটা বিশ্লেষণ এবং ডায়াগনস্টিক অন্তর্দৃষ্টি প্রদানের ক্ষেত্রে এআই-এর সম্ভাবনা প্রদর্শন করে।
এই প্রাথমিক সাফল্যের উপর ভিত্তি করে, ফাউন্ডেশন একটি পরবর্তী প্রজন্মের ডায়াগনস্টিক সহকারী তৈরি করতে শুরু করে যা উন্নত ভাষা মডেলগুলোর শক্তিকে কাজে লাগাবে। এই প্রকল্পটি ডিএক্সজিপিটি (DxGPT) এর বিকাশে চূড়ান্ত রূপ নেয়, যা একটি অত্যাধুনিক এআই-চালিত টুল যা মাইক্রোসফটের Azure প্ল্যাটফর্মে হোস্ট করা হয়েছে।
ডিএক্সজিপিটি (DxGPT) এআই-চালিত ডায়াগনস্টিকসের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি উপস্থাপন করে। এটি জিপিটি-4o এবং o1 মডেলগুলো ব্যবহার করে, যা চিকিৎসা সাহিত্য এবং স্বাস্থ্যসেবা অংশীদারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ডেটাসেটের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি ডিএক্সজিপিটি (DxGPT)-কে দ্রুত লক্ষণগুলো বিশ্লেষণ করতে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে সম্ভাব্য রোগ নির্ণয়ের পরামর্শ দিতে সহায়তা করে।
ডিএক্সজিপিটি (DxGPT) কিভাবে কাজ করে
ডিএক্সজিপিটি (DxGPT) ব্যবহার করার প্রক্রিয়াটি সহজ। রোগী বা পরিচর্যাকারী সিস্টেমে লক্ষণগুলোর একটি বিবরণ ইনপুট করতে পারেন এবং ডিএক্সজিপিটি (DxGPT) একটি প্রাথমিক ডায়াগনস্টিক সারসংক্ষেপ তৈরি করবে। এই সারসংক্ষেপে সম্ভাব্য রোগ নির্ণয়ের একটি তালিকা, সেইসাথে প্রতিটি অবস্থা সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।
ডিএক্সজিপিটি (DxGPT) ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা মূল্যায়নের সাথে একত্রে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। টুল দ্বারা তৈরি ডায়াগনস্টিক সারসংক্ষেপগুলো ডাক্তারদের আরও অনুসন্ধানের জন্য একটি সূচনা পয়েন্ট সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এর পরে ডাক্তাররা পরীক্ষা এবং ক্লিনিক্যাল দক্ষতার সাথে পরামর্শগুলো যাচাই করতে পারেন, যা আরও সঠিক এবং সময়োপযোগী রোগ নির্ণয়ের দিকে পরিচালিত করে।
ডিএক্সজিপিটি (DxGPT)-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর গোপনীয়তার প্রতি অঙ্গীকার। টুলটি ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ বা সংরক্ষণ করে না এবং এর জন্য কোনও ব্যবহারকারীর শনাক্তকারীর প্রয়োজন হয় না। এটি নিশ্চিত করে যে রোগীরা আত্মবিশ্বাসের সাথে ডিএক্সজিপিটি (DxGPT) ব্যবহার করতে পারে, জেনে যে তাদের তথ্য সুরক্ষিত আছে।
স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের গণতন্ত্রায়ন
ডিএক্সজিপিটি (DxGPT) এখন অনলাইনে বিনামূল্যে পাওয়া যায়, যা জটিল স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা পরিবারগুলোর জন্য এটিকে একটি মূল্যবান সম্পদ করে তুলেছে। এই টুলটি তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা পয়েন্ট সরবরাহ করে যারা উত্তর খুঁজে পেতে বা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার জটিলতাগুলো নেভিগেট করতে সংগ্রাম করছেন।
যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখন দ্রুত এবং আরও সঠিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে, ডিএক্সজিপিটি (DxGPT) স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের গণতন্ত্রায়নে সহায়তা করছে। এটি রোগী এবং পরিচর্যাকারীদের তাদের নিজেদের স্বাস্থ্যসেবা যাত্রায় আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে সহায়তা করে এবং রোগী ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ব্যবধান পূরণ করে।
আশার ভবিষ্যৎ
জুলিয়ান ইসলা এবং ফাউন্ডেশন ২৯-এর গল্প উদ্ভাবনের শক্তিএবং মানুষের অদম্য চেতনার একটি প্রমাণ। এটি প্রমাণ করে যে কীভাবে ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো যুগান্তকারী সমাধানগুলোকে অনুপ্রাণিত করতে পারে যা জীবন পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।
ডিএক্সজিপিটি (DxGPT)-এর ক্রমাগত উন্নতি এবং বিকাশের সাথে সাথে, এটি বিরল রোগের রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে প্রস্তুত। এটি সেই পরিবারগুলোর জন্য আশার আলো দেখায়, যারা দীর্ঘদিন ধরে উত্তর খুঁজে পেতে এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পেতে সংগ্রাম করে আসছেন।
ব্যক্তিগত সংগ্রাম থেকে এআই উদ্ভাবনের যাত্রা একটি উল্লেখযোগ্য যাত্রা, এবং এটি এমন একটি গল্প যা বলা দরকার। এটি আশা, সংকল্প এবং অটল বিশ্বাসের গল্প যে প্রযুক্তি বিশ্বকে আরও উন্নত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফাউন্ডেশন ২৯-এর প্রভাব কেবল ডিএক্সজিপিটি (DxGPT)-এর বিকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সংস্থাটি বিরল রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নতুন চিকিৎসার বিকাশের লক্ষ্যে গবেষণা, শিক্ষা এবং advocacy প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে জড়িত।
এর বহুবিধ পদ্ধতির মাধ্যমে, ফাউন্ডেশন ২৯ সকলের জন্য একটি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা তৈরি করতে কাজ করছে। এটি সহযোগিতা, উদ্ভাবন এবং অন্যদের জীবনে পরিবর্তন আনার অটল প্রতিশ্রুতির একটি প্রমাণ।
স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতির সাথে জড়িত। এআই প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকাশের সাথে সাথে এটি রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফাউন্ডেশন ২৯ এই বিপ্লবের একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে, নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন করছে এবং স্বাস্থ্যসেবায় দায়িত্বশীল এবং নৈতিক এআই বিকাশের মান স্থাপন করছে।
যাত্রা এখনও শেষ হয়নি, তবে এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি হয়েছে তা অনুপ্রেরণা এবং আশার উৎস। ক্রমাগত নিষ্ঠা এবং সহযোগিতার সাথে, ফাউন্ডেশন ২৯ বিশ্বজুড়ে বিরল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং পরিবারগুলোর জীবনে স্থায়ী প্রভাব ফেলতে প্রস্তুত।
এই উদ্যোগটি তুলে ধরে যে কীভাবে একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবনের অনুঘটক হতে পারে, যা অনুরূপ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা অগণিত মানুষের জীবনকে উন্নত করার সম্ভাবনা রাখে। মাইক্রোসফটের সমর্থন এবং জুলিয়ান ইসলা ও তার দলের উৎসর্গ একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য একটি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির সাথে প্রযুক্তিগত দক্ষতা একত্রিত করার শক্তি প্রদর্শন করে।
ফাউন্ডেশন ২৯-এর গল্পটি কেবল প্রযুক্তি সম্পর্কে নয়; এটি সহানুভূতি, স্থিতিস্থাপকতা এবং অটল বিশ্বাস সম্পর্কে যে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোও উদ্ভাবন এবং সংকল্পের সাথে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে গভীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে প্রায়শই সবচেয়ে বড় উদ্ভাবনগুলো আসে, এবং আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই পরিবর্তন আনার ক্ষমতা নিহিত রয়েছে।
ফাউন্ডেশন ২৯ দ্বারা করা কাজটি একটি শক্তিশালী উদাহরণ হিসাবে কাজ করে যে কীভাবে প্রযুক্তি ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়গুলোকে শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, তাদের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং সংস্থান সরবরাহ করে। এটি এআই-এর রূপান্তরমূলক সম্ভাবনার একটি প্রমাণ এবং একটি অনুস্মারক যে স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
আমরা সামনের দিকে তাকালে, এটি স্পষ্ট যে এআই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে রূপদান করতে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উদ্ভাবনকে আলিঙ্গন করে এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করে, আমরা এমন একটি ভবিষ্যত তৈরি করতে পারি যেখানে প্রত্যেকের তাদের পরিস্থিতির নির্বিশেষে প্রয়োজনীয় যত্ন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফাউন্ডেশন ২৯-এর গল্পটি আশার আলোকবর্তিকা, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সবচেয়ে জটিল চ্যালেঞ্জগুলোও উদ্ভাবন, সংকল্প এবং পার্থক্য তৈরির অটল প্রতিশ্রুতির সাথে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।