এআই দৌড়: চীন কি কৌশলগতভাবে দ্বিতীয়?

বৈশ্বিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) ল্যান্ডস্কেপ একটি আকর্ষণীয় পরিবর্তনের সাক্ষী থাকছে, যেখানে চীনের এআই সক্ষমতা দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র OpenAI এবং Google-এর মতো সংস্থাগুলির সাফল্যের মাধ্যমে একটি প্রভাবশালী শক্তি হিসাবে রয়ে গেছে, চীনের অগ্রগতি অস্বীকার করার উপায় নেই। এই উত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করে: চীন কি সরাসরি এআই আধিপত্যের লক্ষ্য রাখছে, নাকি এটি কৌশলগতভাবে নিজেকে একটি শক্তিশালী দ্বিতীয় স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে? সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি একটি সূক্ষ্ম কৌশল প্রস্তাব করে, যেখানে ঘনিষ্ঠ প্রতিযোগী হওয়া চীনের বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগুলির সাথে আরও ভালোভাবে সঙ্গতিপূর্ণ।

চীনের এআই-এ চিত্তাকর্ষক অগ্রগতি

Google-এর সাম্প্রতিক I/O ডেভেলপার কনফারেন্স এআই অঙ্গনে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি তুলে ধরেছে। চ্যাটবট এরিনা লিডারবোর্ড, একটি সম্মানিত ক্রাউডসোর্সড বেঞ্চমার্ক, চীনা এআই মডেলগুলির অসাধারণ কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। DeepSeek, Tencent-এর Hunyuan TurboS, Alibaba-র Qwen, এবং Zhipu-র GLM-4-এর মতো নামগুলি কেবল অংশগ্রহণকারী ছিল না, বিশেষ করে কোডিং এবং জটিল সংলাপে অসামান্য দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। এই কর্মক্ষমতা নির্দেশ করে যে চীন দ্রুত এআই সক্ষমতার ব্যবধান পূরণ করছে।

  • DeepSeek: এর শক্তিশালী কোডিং কাজের জন্য পরিচিত।
  • Hunyuan TurboS (Tencent): উচ্চ-মানের সংলাপে পারদর্শী।
  • Qwen (Alibaba): সব মিলিয়ে শক্তিশালী এআই সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
  • GLM-4 (Zhipu): বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর বহুমুখিতা এবং প্রয়োগের জন্য উল্লেখযোগ্য।

“দ্বিতীয় হওয়ার” পেছনের কৌশলগত যুক্তি

ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার আইনের অধ্যাপক এবং "হাই ওয়্যার: হাউ চায়না রেগুলেটস বিগ টেক অ্যান্ড গভর্নস ইটস ইকোনমি" (High Wire: How China Regulates Big Tech and Governs Its Economy) গ্রন্থের লেখক অ্যাঞ্জেলা ঝাং একটি আকর্ষণীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রস্তাব করেছেন। ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর একটি প্রবন্ধে, ঝাং যুক্তি দেন যে বেইজিং কৌশলগতভাবে নির্ধারণ করেছে যে এআই-এ একেবারে আধিপত্যের জন্য চেষ্টা করার চেয়ে একটি শক্তিশালী দ্বিতীয় স্থান হওয়া তাদের স্বার্থের জন্য আরও ভালো। এই কৌশলটি কয়েকটি বিষয় দ্বারা প্রভাবিত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি বিধিনিষেধ মোকাবিলা

একটি মূল বিষয় হল উন্নত সেমিকন্ডাক্টর চীনে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে এই বিধিনিষেধগুলি চীনকে তার দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর সক্ষমতা বাড়াতে প্ররোচিত করেছে। Huawei-এর মতো সংস্থাগুলি এই শূন্যতা পূরণ করতে এগিয়ে এসেছে। উদাহরণস্বরূপ, Huawei-এর Ascend 910c চিপ ইতিমধ্যেই Nvidia-র H100-এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সরবরাহ করে।

মার্কিন নীতির বৈশ্বিক প্রভাব

মার্কিন চিপ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ভারত, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলিতেও বিস্তৃত। এই বিস্তৃত প্রসার উদীয়মান অর্থনীতিগুলিকে প্রযুক্তি সমাধানের জন্য চীনের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করতে পারে, যার ফলে চীনা প্রযুক্তির চাহিদা বাড়তে পারে।

সেমিকন্ডাক্টর স্বনির্ভরতা

এই চ্যালেঞ্জগুলির প্রতিক্রিয়ায় চীনের এআই নেতারা সেমিকন্ডাক্টর স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছেন। Huawei ২০২৮ সালের মধ্যে ৭০% সেমিকন্ডাক্টর স্বায়ত্তশাসন অর্জনের লক্ষ্যে একটি জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে। Huawei-এর CloudMatrix 384 এআই সুপারনোড উন্মোচন, যা Nvidia-র NVL72-কে ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে, চীনের এআই কম্পিউটিং অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ বাধাগুলি মোকাবেলায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

  • Huawei-এর CloudMatrix 384: একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন যা চীনের এআই কম্পিউটিং সক্ষমতা বাড়ায়।

Tencent-এর কৌশলগত পদক্ষেপ

Tencent-এর কৌশল এআই ল্যান্ডস্কেপে চীনের কৌশলগত অবস্থানকে আরও চিত্রিত করে। তাদের সাম্প্রতিক এআই শীর্ষ সম্মেলনে, Tencent উন্নত মডেল চালু করেছে:

  • TurboS: উচ্চ-মানের সংলাপ এবং কোডিংয়ের জন্য।
  • T1-Vision: ছবি থেকে যুক্তি বের করার জন্য।
  • Hunyuan Voice: অত্যাধুনিক বক্তৃতা взаимодействий জন্য।

Tencent ওপেন-সোর্স পদ্ধতিও গ্রহণ করেছে, তাদের Hunyuan 3D মডেল ব্যাপকভাবে উপলব্ধ করেছে। ১.৬ মিলিয়নেরও বেশি ডাউনলোডের সাথে, এটি বিশ্বব্যাপী বিকাশকারী সম্প্রদায় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চীনের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।

ওপেন-সোর্স সুবিধা

এআই অনুমানে (inference) কম প্রযুক্তিগত বাধা, একটি দ্রুত সম্প্রসারিত বাজার বিভাগ, চীনের এআই শিল্পকে উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত করতে পারে। DeepSeek এবং Baichuan-এর মতো সংস্থাগুলির ওপেন-সোর্স প্রকাশের মাধ্যমে দেশীয়ভাবে তৈরি সমাধানগুলির ব্যাপক গ্রহণ দ্রুত করা যেতে পারে। এই পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী বিকাশকারীদের সম্পৃক্ততাকে শক্তিশালী করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার সম্ভাবনা রাখে।

  • DeepSeek এবং Baichuan: নেতৃস্থানীয় চীনা সংস্থা যারা ওপেন-সোর্স এআই সম্প্রদায়ে অবদান রাখছে।

চ্যালেঞ্জ এবং সীমাবদ্ধতা

hardware-এর ক্ষেত্রে চিত্তাকর্ষক অগ্রগতি সত্ত্বেও, চীন এখনও software-এর পরিশীলিততা এবং ecosystem integration-এর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে পিছিয়ে রয়েছে।

  • Interface Design: মার্কিন মডেলগুলির interface প্রায়শই বেশি user-friendly হয়ে থাকে।
  • User Familiarity: আন্তর্জাতিক ব্যবহারকারীরা সাধারণত মার্কিন-ভিত্তিক এআই মডেলগুলির সাথে বেশি পরিচিত।
  • Developer Support: যুক্তরাষ্ট্রে developer support-এর জন্য একটি আরও শক্তিশালী ecosystem রয়েছে।

উপসংহার

দ্বিতীয় স্থান দখলের জন্য চীনের পরিমাপিত প্রচেষ্টা ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস করার পাশাপাশি প্রযুক্তি স্বনির্ভরতা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যথেষ্ট অর্থনৈতিক সুবিধা সুরক্ষিত করার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হতে পারে। এআই ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তন হচ্ছে। অভিযোজনযোগ্যতা, বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা এবং কৌশলগত দূরদর্শিতা, আপাতত, কম্পিউটিং ক্ষমতার চেয়ে বেশি মূল্যবান বলে মনে হয়। প্রথম হওয়ার লক্ষ্য না রেখে, চীন সম্ভবত একটি আরও টেকসই এবং কৌশলগতভাবে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানি এখন অত্যাধুনিক এআই মডেল তৈরি করছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। টেনসেন্ট এবং আলিবাবার মতো কোম্পানিগুলো এই ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। চীনের এই অগ্রগতি প্রযুক্তি বিশ্বে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

চীনের এই সাফল্য মূলত সরকারের সহায়তার কারণে সম্ভব হয়েছে। চীন সরকার এআই গবেষণার জন্য প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং এই খাতকে উন্নীত করার জন্য বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে চীনের কোম্পানিগুলো দ্রুত উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে।

চীনের এআই মডেলগুলো এখন কোডিং, ভাষা অনুবাদ এবং অন্যান্য জটিল কাজগুলো সমাধানে বেশ পারদর্শী। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, এগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর তৈরি মডেলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। চীনের কোম্পানিগুলো এখন তাদের এআই প্রযুক্তিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তবে, চীনের এআই শিল্পের কিছু দুর্বলতাও রয়েছে। চীনের চিপ উৎপাদনের সক্ষমতা এখনও পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় কম। এছাড়াও, চীনের এআই মডেলগুলোর ডেটা সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা নিয়ে কিছু উদ্বেগ রয়েছে।

চীনের এআই খাত ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। চীন সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে এআই খাতে বিশ্ব নেতৃত্ব অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য, চীন তার বিনিয়োগ এবং নীতিগত সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

চীনের এআই অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ওপেন সোর্স প্রযুক্তির ব্যবহার। চীনের অনেক কোম্পানি তাদের এআই মডেল এবং ডেটা ওপেন সোর্স হিসেবে প্রকাশ করছে, যা বিশ্বব্যাপী ডেভেলপারদের জন্য সহায়ক হচ্ছে। এর মাধ্যমে চীনের এআই প্রযুক্তি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং উন্নত হচ্ছে।

চীনের এআই কোম্পানিগুলো এখন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পরিবহন এবং অন্যান্য খাতে তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এর ফলে এই খাতগুলোতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং চীনের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে সেমিকন্ডাক্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। চীন সরকার সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এই লক্ষ্যে, তারা দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করছে এবং বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছে।

চীনের এআই শিল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ডেটা। এআই মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রচুর ডেটার প্রয়োজন হয়। চীনের বিশাল জনসংখ্যার কারণে, চীনের কোম্পানিগুলোর কাছে প্রচুর ডেটা রয়েছে, যা তাদের এআই মডেলগুলোকে উন্নত করতে সহায়ক হচ্ছে।

তবে, ডেটা সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে, চীন সরকার ডেটা ব্যবহারের ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই বিধিনিষেধগুলো এআই শিল্পের উন্নয়নে কিছুটা বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

চীনের এআই কোম্পানিগুলো এখন আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন দেশে তাদের অফিস স্থাপন করছে এবং স্থানীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছে। এর মাধ্যমে, তারা বিশ্বব্যাপী এআই বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে চায়।

চীনের এআই শিল্পের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। চীন সরকার এবং কোম্পানিগুলো এই খাতকে উন্নীত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে। এর ফলে, চীন ভবিষ্যতে এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশ্ব নেতৃত্ব হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

চীনের এআই অগ্রগতির ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন তাদের এআই শিল্পকে উন্নীত করার জন্য নতুন নীতি গ্রহণ করছে এবং বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। এই প্রতিযোগিতা বিশ্বব্যাপী এআই প্রযুক্তির উন্নয়নকে আরও দ্রুত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই কোম্পানিগুলোর মধ্যে হুয়াওয়ে, টেনসেন্ট, আলিবাবা এবং বাইদু উল্লেখযোগ্য। এই কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের এআই মডেল তৈরি করছে এবং সেগুলো বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করছে। তাদের তৈরি করা কিছু মডেল পশ্চিমা মডেলগুলোর চেয়েও উন্নত।

চীনের এআই শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও চীনের এআই খাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এর ফলে, চীনের এআই কোম্পানিগুলো আরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে এবং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে শিক্ষা এবং গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। চীন সরকার বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এআই গবেষণা এবং শিক্ষার জন্য উৎসাহিত করছে। এর ফলে, চীনের তরুণ প্রজন্ম এআই প্রযুক্তিতে আরও বেশি দক্ষ হয়ে উঠছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে সামাজিক মাধ্যম এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ করে এবং সেই ডেটা ব্যবহার করে এআই মডেলগুলোকে আরও উন্নত করে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে স্মার্ট সিটি প্রকল্পগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে শহরগুলোতে সেন্সর এবং অন্যান্য ডিভাইস স্থাপন করা হচ্ছে, যা থেকে প্রচুর ডেটা সংগ্রহ করা যায়। এই ডেটা ব্যবহার করে শহরগুলোর কার্যক্রম আরও উন্নত করা যায়।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে রোবোটিক্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের রোবট তৈরি করছে, যা শিল্প, কৃষি এবং অন্যান্য খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই রোবটগুলো মানুষের কাজকে সহজ করে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ায়।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো স্বয়ংক্রিয় গাড়ি তৈরি করার জন্য চেষ্টা করছে। এই গাড়িগুলো ভবিষ্যতে পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও নিরাপদ এবং উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে স্বাস্থ্যসেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে রোগের দ্রুত নির্ণয় এবং উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করার চেষ্টা করছে। এর ফলে, স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষা পদ্ধতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। এর ফলে, শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে কৃষি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, খাদ্য নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে পরিবেশ সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ কমানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, পরিবেশ আরও সুরক্ষিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে সাইবার নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, অনলাইন নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে প্রতিরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, দেশের নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে মহাকাশ গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে মহাকাশ অভিযানকে আরও সহজ করার জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে সংস্কৃতি এবং বিনোদন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে নতুন ধরনের বিনোদন সামগ্রী তৈরি করার জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, সংস্কৃতি এবং বিনোদন জগত আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে খেলাধুলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ এবং খেলার কৌশল উন্নত করার জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, খেলাধুলার মান আরও উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে পর্যটকদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত ভ্রমণ পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, পর্যটন খাত আরও উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে ভাষা অনুবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাষার মধ্যে দ্রুত এবং নির্ভুল অনুবাদ করার জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ আরও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে গ্রাহক পরিষেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে গ্রাহকদের জন্য উন্নত গ্রাহক পরিষেবা প্রদান করার জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, গ্রাহক সন্তুষ্টি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে সরবরাহ শৃঙ্খলকে আরও দক্ষ এবং কার্যকর করার জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, অপচয় কমবে এবং সময় সাশ্রয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে আর্থিক পরিষেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে জালিয়াতি সনাক্তকরণ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, আর্থিক নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের এআই শিল্পের উন্নয়নে শক্তি ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চীনের কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে বিদ্যুতের ব্যবহার অপটিমাইজ করার জন্য চেষ্টা করছে। এর ফলে, শক্তির অপচয় কম